আনোয়ার হোসেন ॥ নগরীর বিবি পুুকুর পঞ্চিম পাড় বেলভিউ মেডিকেল সার্ভিসেস (প্রা:) লি: স্নায়ুরোগ ও নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমিতাভ সরকারের বিরুদ্ধে সিরিয়ালের নাম দিয়ে রোগীর কাছে থেকে ৬ শত টাকা অগ্রিম আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, এক সঙে অনেক রোগী তার চেম্বারের ভিতরে নিয়ে দাড় করিয়ে রাখার অভিযোগও উঠেছে ডাঃ অমিতাভ সরকারের বিরুদ্ধে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার চেম্বারের সামনে টেবিলে খাতা কলম নিয়ে বসে আছেন এক লোক সিরিয়াল দিতে চাইলে ৬০০ শত টাকা চায় রোগীর স্বজনের কাছে। কিসের টাকা চানতে চাইলে বলেন, ডাক্তার দেখাতে হলে আগে টাকা দিতে হবে তার পরে সিরিয়াল। সিরিয়াল দিতে আসা লোকটির কাছে টাকা না থাকায় সিরিয়াল না দিয়েই চলে যাওয়ার সময় প্রতিনিধিকে বলেন, আসলে বড় মাপের ডাক্তার অভিতাভ সরকার কিন্তু কষাইতে পরিণত হয়েছে। এখন রোগী দেখা বিষয় না টাকা আয় কড়াই হলো মূল লক্ষ। তাকে রোগীর কাছে পরিচিত করেছে এখন টাকা আসতে আছে তাতে যেভাবেই হউক। চিকিৎসা নিতে আসা বরগুনার পারভিন বলেন, আসলে তার শুনাম সুনে দেখাইতে আসছি কিন্তু সে তো রোগীর কথাই শুনেছে না। সে তো রোগীর মাথা গুনে, কারন রোগী যত বেশি হবে জনপ্রতি ৬ শত টাকা তার পকেটে আগেই জমা হচ্ছে। সে আরোও বলেন, এক জন রোগীকে কমপক্ষে ২০ মিনিট সময় যদি না দেয় তা হলে রোগীতে কি বলবেন আর সেও বা কি বুজলেন। তাদের আয় দুই দিকে একধিকে রোগী ডোকার সাথে সাথে কত গুলো পরিক্ষা দিয়ে দেন। সেখান থেকে অবৈধভাবে টাকা আয় করছেন অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে রোগী দেখার আগে টাকা নিচ্ছেন। কলাপাড়া থেকে আসা প্রবীন রোগী মিজান বলেন, আসলে আমাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে ডাক্তার অমিতাভ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে টাকা আয় করছে। তিনি বলেন, আমি বরিশালের আমার পরিচিত এক লোককে সিরিয়াল দিতে বলি সে এসে দেখে ৬ শত টাকা অগ্রিম দিয়ে সিরিয়াল দেওয়া লাগে। আসলে এটা কোন নিয়ম, এই নিয়ম তো ডাক্তারের ঘরোয়া নিয়ম সে যেমন তার ফ্যামিলিকে চালায় ঠিক তেমনি আমাদেরকে জিম্মি করে এমন সিধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, তার মতো আরোও কোন ডাক্তার এমন নিয়ম করছেন কি না। যদি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইননুগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আসলে অবৈধ ওই নিয়ম ডাক্তার অভিতাভ সরকারের একটি কারিশমা? তার কারিশমা আমরা আসলে বন্দি। তিনি বলেন, দৈনিক ৫০-৬০ জন রোগী দেখেন কি ভাবে এবং তাদের রিপোর্ট দেখানোর সময় আরেক বাহানা। গলাচিপা থেকে আসা রোগী স্বজন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডাক্তারের চেম্বারে এক সাথে ১০-১২ জন রোগী নিয়ে রাখেন এতো রোগীর মধ্যে গোপন কোনও কথা থাকলেও বলা যায় না। আর সে তো রোগীর কথা শুনবার মতো তার সময় নেই তার দা-া হলো টাকা। আর চেম্বারের ভীতরে বাহিরে তার যে সহকারীরা তাদের ব্যবহার তো কোনও মানুষের মতো নয়। মামুন নামে তার এক সহকারী সে তো কোনও কথা শুনতে চায় না বরং তার ব্যবহারে মানুষ অতিষ্ঠ। সিরিয়াল দেওয়ার সময় টাকা নেওয়া এবং এক সাথে অনেক লোক চেম্বারের ভীতরে নিয়ে দাড় করিয়ে রাখাসহ ডাক্তারের সহকারীর খারাব আচারনের বিষয় বেলভিউ কতৃপক্ষ বলেন, আসলে ডাক্তার অভিতাভ সরকার তার ব্যাক্তিগত ভাবে এমন সিধান্ত নিয়েছেন। আসলে আমাদের অফিসের কোনও বিষয় না। তিনি আরোও বলেন, যদি এমন হয়ে থাকে তা হলে আপনী আইনীয় পদক্ষেপ নেন। তবে ভুক্তভোগী জানান, আমি ডাক্তার অভিতাভ সরকারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে ছিলাম। ওসির স্যারকে না পেয়ে ফেরত চলে আসছি। আমার বাসায় বরিশালে আমি তার বিরুদ্ধে স্যারের সাথে কথা বলে অবশ্যই মামলা দিবো। নিউজ লেখা পযন্ত থানায় কোন অভিযোগ এমনকি মামলা হয়নি।
Leave a Reply